অনলাইন ডেস্ক
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা মানুষের সংখ্যা ছয় কোটিরও বেশি বলে দেশটির সরকারি চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) জরিপে উঠে এসেছে। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সেখানে সোয়া ৬২ লাখ করোনা আক্রান্ত নথিবদ্ধ হয়েছে। আইসিএমআর’র সেরো সার্ভে অনুযায়ী প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের প্রায় ১০ গুণ। অবশ্য বিশ্বজুড়েই পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব ও উপসর্গহীন রোগী থাকায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নথিবদ্ধ হচ্ছে না।
গত ১১ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে ভারতজুড়ে প্রথম সেরো সার্ভে করে আইসিএমআর। পরে ১৭ অগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের সেরো সার্ভে করা হয়। ভারতের ২১টি রাজ্যের ৭০টি জেলার মধ্যে থাকা ৭০০ গ্রামে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। ২৯ হাজার ৮২ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই একই জায়গায় প্রথম পর্যায়ের জরিপ করা হয়েছে। দুটি পর্যায়ের সার্ভের ক্ষেত্রে শুধু বয়স বাদ দিয়ে সব প্যারামিটার একই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের থেকে নমুনা নেওয়া হয়। আইসিএমআর’র জরিপ অনুযায়ী, ভারতে ১০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে প্রতি ১৫ জনে একজন অর্থাৎ ৬.৬ শতাংশ ব্যক্তি করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে।
আইসিএমআর’র মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় সার্ভের সময় বয়সের সীমা ১০ থেকে ১৮ বছর করেছিলাম। কারণ অল্প বয়সীদের মধ্যেও সংক্রমণ ধরা পড়ছে। সেরো সার্ভের মাধ্যমে আমরা কতজন ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু যাঁরা সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা যে প্রত্যেকেই আক্রান্ত হবেন তা নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার দুই থেকে তিন মাস অনেকের শরীরে সংক্রমণ থাকছে, এমনটাও দেখা যাচ্ছে।’ এই সেরো সার্ভেতে দেখা গেছে, শহরের বস্তি এলাকায় ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : দ্য ওয়াল, এএফপি।