অনলাইন ডেস্ক
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন যে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রকাশ্যে তা না স্বীকার করলেও আড়ালে সেই বাস্তব মেনে নিচ্ছেন রিপাবলিকান দলের নেতারা৷ কিন্তু বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চটাতে চাইছেন না কেউ৷
এদিকে ট্রাম্প একাধিক রাজ্যে ভোট পুনর্গণনার দাবি ও নির্বাচনে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলা করেও নিজের জয় প্রমাণ করতে পারছেন না৷ উইসকনসিন রাজ্যে বাইডেনের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷ মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া রাজ্যেও ট্রাম্প নিজেকে জয়ী প্রমাণ করতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প বাইডেনের তুলনায় প্রায় ৫৮ লাখ কম ভোট পেয়েছেন৷ কমপক্ষে তিনটি বড় রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল বদলাতে না পারলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন না৷ অথচ বাস্তবে এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ট্রাম্প আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন৷
এ পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান দলের একের পর এক নেতা বাইডেনের জয় পরোক্ষভাবে মেনে নিচ্ছেন৷ ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত কমলা হ্যারিস সংসদ সদস্য হিসেবে চলতি সপ্তাহে সিনেটে ফেরার পর রিপাবলিকান দলের সদস্যরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে পরাজয় স্বীকার করা পর্যন্ত রিপাবলিকানরা এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেবেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ তাছাড়া ট্রাম্প সাত কোটিরও বেশি ভোট পেয়ে রিপাবলিকান সমর্থকদের আস্থার প্রমাণ দিয়েছেন বলে দলের নেতারা প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করতে চান না৷
advertisement
এছাড়া ২০২৪ সালে ট্রাম্প আবারো দলের মনোনয়ন পেলে তিনি ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পারেন, এমন আশঙ্কাও কাজ করছে৷ জানুয়ারি মাসে সিনেটের দুই আসনের জন্য নির্বাচনের স্বার্থেও নেতারা ঐক্য বজায় রাখতে চাইছেন৷
সূত্র : ডয়চেভেলে