অনলাইন ডেস্ক
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় নাটকীয় আক্রমণে পরিকল্পনা রয়েছে ইমপিচমেন্ট কমিটির। উদ্দেশ্য একটাই, ক্যাপিটল ভবনে হামলার মতো ঘটনা ঘটানোর আগে ভবিষ্যতে যেন দ্বিতীয় বার ভাবতে হয়।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। ইমপিচমেন্ট ম্যানেজাররা জানিয়েছেন, ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন ভিডিয়োকে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়েছেন তাঁরা। ৬ জন বিশেষজ্ঞকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা এর আগের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব থেকে শিক্ষা নিয়েই এই উদ্যোগ।
এর আগে ইউক্রেনের ঘটনায় ইমপিচমেন্ট মামলায় ৫ মাস ধরে শুনানি চলেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যান ট্রাম্প। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ইমপিচমেন্ট কমিটি।
advertisement
কমিটির অন্যতম আইনজীবী ও মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জেমি রাসকিন এ ব্যাপারে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ক্যাপিটল হামলার ঘটনায় ট্রাম্প যা করেছেন, তা ভয়ঙ্কর। তাই আমি মনে করি, প্রত্যেক আমেরিকাবাসীর জানা উচিত আসলে কী হয়েছিল। কেন ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্টের সামনে পড়তে হল। কেনই বা তাতে ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়াটা একান্ত জরুরি। কেন ভবিষ্যতে কখনও তাঁকে কোনও ফেডারেল পদে বসতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন তিনি আমেরিকার গণতন্ত্রে কোনও আঘাত হানতে না পারেন। যাতে ভবিষ্যতে এই পরিণামের কথা ভেবে কেউই আমেরিকার সংবিধান বা গণতন্ত্রের উপর আঘাত করার কথা না ভাবেন।’’
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হবে বলেও জানান জেমি রাসকিন।