তিন শতাধিক রান করেও ভারত জিততে পারল না। দ্বিতীয় ওয়ানডে ৬ উইকেটে জিতে নিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। ওপেনার জনি বেয়ারস্টো দুর্দান্ত সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন। তবে ম্যাচে আসল পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন খ্যাপাটে অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস। ঝড়ো ব্যাটিং করে স্টোকস আজ ৫২ বলে ৯৯ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। সেইসঙ্গে থেকে যায় সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ।
পুরো ইনিংসে ছক্কারই ঝড়ই তোলে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসে মোট ২০টি ছক্কা হাঁকায় তারা। এরমধ্যে একাই ১০ ছক্কা হাঁকান বেন স্টোকস।
প্রথম ওয়ানডেতেও ভারতের তিন শতাধিক রানের জবাবে বিধ্বংসী শুরু করেছিল ইংলিশরা। তবে মাঝপথে তারা খেই হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। এবার আর সেটা হয়নি। ভারতের দেওয়া ৩৩৭ রানের টার্গেটে পৌঁছতে ইংলিশদের লেগেছে মাত্র ৪৩.৩ ওভার। ওপেনিংয়েই ১১০ রানের জুটি উপহার দেন জেসন রয় আর বেয়ারস্টো। জেসন রয় ৫২ বলে ৫৫ রানে আউট হলেও বেয়ারস্টো তিন অংকের দিকে এগিয়ে যান। ৪৫ বলে ফিফটির পর ৯৫ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি।
বেয়ারস্টোর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এসে ঝড় তোলেন বেন স্টোকস। একের পর এক বল উড়ে গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে। ৪০ বলে ফিফটির পরই মূলত আক্রমণাত্নক হয়ে উঠেন স্টোকস। ক্রুণাল পান্ডিয়া আর কুলদিপ যাদবের দুই ওভারেই তোলেন ৪৮ রান। ১১ বলে ৪৯ রান তুলে ৫২ বলে ৯৯ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ঋষভ পন্থের গ্লাভসে ধরা পড়েন স্টোকস।
এই দুঃখজনক আউটের আগে তিনি হাঁকান মাত্র ৪টি চার এবং ১০টি বিশাল ছক্কা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১৭৫ রান। এরপর ১১২ বলে ১১ চার ৭ ছক্কায় জনি বেয়ারস্টোকে ফেরত পাঠান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
ততক্ষণে অবশ্য জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। দলের রান ২৮৭। উইকেটে এসেই ফিরে যান অধিনায়ক জস বাটলার (০)। উইকেটে জুটি বাঁধেন ডাভিড মালান আর লিয়াম লিভিংস্টোন। তাদের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ৪৩.৩ ওভারেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। মালান ২৩ বলে ১৬* আর লিভিংস্টোন ২১ বলে ২৭* রানে অপরাজিত থাকেন। এত রান করেও পরাজয়ের গ্লানি পাওয়া ছাড়া ভারতের কিছু করার ছিল না।