1. admin@jationews24.com : admin :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

ফ্রান্সে এক মাসের কড়া লকডাউন

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬৯৭ পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক 

করোনা সংক্রমণের মারাত্মক হার কমাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ কমপক্ষে এক মাসের কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছেন৷ সেইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়িয়ে পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছেন তিনি ৷

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বেড়ে চলা হার নিয়ন্ত্রণে আনতে জার্মানিতে আরও কড়া  লকডাউন নিয়ে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের মাঝে প্রতিবেশি দেশ ফ্রান্স কমপক্ষে এক মাসের জন্য কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিলো৷ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বর্তমান করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে একাধিক কড়াকড়ির ঘোষণা করলেন৷ দেশের কিছু অংশে বিচ্ছিন্নভাবে যে সব কড়া বিধিনিয়ম চালু ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা দেশের জন্য সেগুলি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷

মাক্রোঁ বলেন, মহামারির প্রত্যেকটি পর্যায়ে হয়তো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিবার ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে৷ তার মতে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে নিয়ন্ত্রণ আর হাতে থাকবে না৷ উল্লেখ্য, দেশের বিপর্যস্ত অর্থনীতির স্বার্থে মাক্রোঁ এতদিন তৃতীয় লকডাউনের নিতে দ্বিধা করছিলেন৷

নতুন কড়াকড়ির আওতায় আগামী সপ্তাহান্ত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানবাজার ছাড়া বাকি সব বিপণী বন্ধ রাখা হবে৷ সন্ধ্যা সাতটা থেকে কারফিউ চালু হবে৷ মানুষ নিজের বাসা থেকে ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যেতে পারবেন না৷ অর্থাৎ দেশের মধ্যে মানুষের  যাতায়াত কার্যত বন্ধ রাখা হচ্ছে৷ সারা দেশে তিন সপ্তাহের জন্য স্কুল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে৷

ফ্রান্সে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার প্রায় ৩৭৫ ছুঁয়েছে৷ দিনে ৪০,০০০-এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন৷ ফলে দেশের অনেক হাসপাতাল আর রোগী নিতে পারছে না৷ বিশেষ করে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলি প্রায় ক্ষমতার সীমারেখায় পৌঁছে যাচ্ছে৷ ফলে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে৷ প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ অবশ্য হাসপাতালের ক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন৷ করোনা মহামারির শুরু থেকে ফ্রান্সে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশের মতো ফ্রান্সেও করোনার টিকাদান কর্মসূচি ধীর গতিতে এগোচ্ছে৷ যথেষ্ট সংখ্যায় টিকার সরবরাহে ঘাটতির পাশাপাশি দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকেও এই সংকটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে৷ এখনো পর্যন্ত ফ্রান্সে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন৷ মাক্রোঁ টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ষাটের বেশি বয়সের মানুষ এবং এর এক মাস পর পঞ্চাশের বেশি বয়সের মানুষ টিকা পাবেন৷ কড়া লকডাউন ও দ্রুত টিকাদানের ফলে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধাপে ধাপে কড়াকড়ি শিথিল করা সম্ভব হবে বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এই ধরণের অন্যান্য সংবাদসমূহ...


© 2020 জাতীয় নিউজ ২৪। সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

কারিগরি সহায়তায়- White NS

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST