ডোপটেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারান পল্লবী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান। এবার অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুজ্জামানসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাকিরা হলেন, জয়নাল, মেহেদি ও আদনান।
জানা যায়, হেরোইন সেবনের দায়ে চলতি বছর পল্লবী থানার উপ পরিদশক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
চাকরি হারিয়ে তিনি বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
ব্যাংক কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম খান বলেন, ব্যাংকের ঋণখেলাপিদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে প্রায় সময় মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করতে যেতে হয় তাকে।
Advertisements
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় পল্লবীর ১১ নম্বর পলাশনগর মালিক সমিতির মোড়ে সাব্বির হোসেন নামে এক ঋণখেলাপি সম্পর্কে জানতে গোপন তদন্তে বের হন। বৃহস্পতিবার পলাশনগরের একটি বাড়িতে গিয়ে সাব্বির হোসেন সম্পর্কে জানতে চাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে বাড়ির ভিতর নিয়ে একটি কক্ষে অপেক্ষা করতে বলেন। কিছুক্ষণ পরে আঁখি ওরফে সাথী নামে একটি মেয়ে ও অজ্ঞাত ছয় জন লোক ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। তারা আমার কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। আমার সঙ্গে থাকা ডেবিট, ক্রেডিট ও মাস্টার কার্ডগুলো নিয়ে যান। তারা কার্ডগুলোর পিন নম্বরও নিয়ে নেন। আমি জীবন ভিক্ষা চাইলে আমার পরিহিত শার্ট, প্যান্ট খুলে গামছা পড়িয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আসামি আঁখি ওরফে সাথীকে পাশে বসিয়ে আপত্তিকর ছবি ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডগুলো নিয়ে অজ্ঞাত চার জন বাইরে চলে যান। আমাকে পাহারা দেওয়ার জন্য আঁখিসহ দুই জনকে রেখে যান। তারা বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ থেকে নগদ ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন ও মার্কেটে কেনাকাটা করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় অজ্ঞাত চার জন বাইরে থেকে এসে আমাকে ছেড়ে দেন। ভয় দেখিয়ে আমাকে বলেন, ‘যদি এ ঘটনা কাউকে বলি তাহলে মোবাইলে ধারণকৃত আমার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবেন। ‘
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তার এ ঘটনায় অজ্ঞাত ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে পল্লবী থানার সাবেক এসআই আসাদুজ্জামানসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান অসামি আঁখিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ওসি আরও বলেন, আসাদ এক সময় পল্লবী থানার এসআই ছিলেন। তার বর্তমানে চাকরি নেই। তাকে যেন আর এসআই সম্মোধন না করা হয়।