পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বুধবার ঢাকার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান৷ তিনি বলেছেন, ‘‘মিতু হত্যার সাথে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই৷ তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে৷ পরে তাকে আদালতে তোলা হবে৷”
এদিকে, মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করতে থানায় হাজির হয়েছেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন৷ বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হাজির হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হবে৷
বাবুল আক্তারের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইয়ের কমর্কর্তারা চট্টগ্রামের আদালত ভবনে হাজির হন বেলা সোয়া ১২টার দিকে৷
একই সময়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় যান মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন, যিনি ২০১৭ সালের জুন থেকে বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছেন৷
এরপর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামের আদালত ভবনে নেওয়া হয়৷
এক সময় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনারের দায়িত্ব পালন করা বাবুল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামে পিবিআইয়ের মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখী হওয়ার পর থেকেই তদন্তকারীদের হেফাজতে ছিলেন৷
বাবুলকে মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করার পর সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয় পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে৷ শুনানি শেষে বিচারক সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে ৫ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন৷
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার ঘটনায় ২০১৬ সালে বাবুল আক্তারের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেবে পিবিআই৷
“মিত্যু হত্যার সঙ্গে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে৷”
বনজ কুমার বলেছেন, খ্যাতিমান পুলিশ অফিসার ছিলেন বাবুল আক্তার৷ অনেক কাজ করেছেন৷ তার স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এটি পরিগণিত৷ বাবুল আক্তার বাদী হয়েছিলেন৷ পুরোনো মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন দু’জন৷
বনজ কুমার বলেন, মামলার বাদীকে ইচ্ছা করলেই গ্রেপ্তার করা যায় না৷ বাদীকে গ্রেপ্তার করতে হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে৷ খুলশী থেকে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে আজই কোর্টে যাচ্ছে পুলিশ৷ এটি দাখিলের পর নতুন মামলা হবে৷ নতুন মামলায় এক নম্বর আসামি হবেন বাবুল আক্তার৷