জাতীয় শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শাস্তি নিশ্চিকরণ ও তাদের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার যুবলীগের আহ্বায়ক, বর্তমান ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণত সম্পাদক হাজী মোঃ বসির আহম্মেদ।
জনাব বসির আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এই দেশ ও জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। এই মহান নেতার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। তার জন্ম না হলে কখনোই এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হতো না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় কখনও আসেনি যে বাঙালিরা ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করতে পারে। যে বাঙালিকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছেন সেই বাঙালিরাই তাকে হত্যা করেছে।
শুধু জাতির পিতা নয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব থেকে শুরু করে ছোট্ট রাসেল পর্যন্ত তার পরিবারের ২০ জন সদস্যকে হত্যা করে ঘাতকরা। এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে সংসদকে কলঙ্কিত করে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল এবং খুনিদের দূতাবাসে পদায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়েছে যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বসির আহম্মেদ হারিয়েছেন নিজের প্রিয় সহধর্মিনি হাসিনা মমতাজকে। নিজে হয়েছিলেন আহত। প্রতিবেদকের সামনে নিজের চোয়াল শক্ত করে বলেন, আমার শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো ক্ষতি হতে দিবোনা। বসির আহম্মেদ-এর মতো নেতারা আছেন বলেই ষড়যন্ত্রকারীরা হাজার চেষ্টা করেও জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বরং বসির আহম্মেদ এর মতো ত্যাগী, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতারা দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে সুসংগঠিত করেছেন তৃণমূল আওয়ামীলীগ।
এই সময়ে কথা হয় বর্তমান করোনা মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে। প্রতিবেদক এলাকার সাধারন মানুষ ও আওয়ামীলীগ, আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন জনাব হাজী মোঃ বসির আহম্মেদ একজন আওয়ামী পরিবারের মানুষ। সেই সাথে তিনি তাদের অন্যতম একজন অভিভাবকও বটে। তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি। সহযোগী সংগঠনের গরিব দুঃখী নেতা-কর্মীরা বিপদে পরলে তাদের শেষ ঠিকানা হাজি মোঃ বসির আহম্মেদ ভাই এবং তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেন। কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়না। শুধু তাই নয় এলাকার মাটিকাটা, মানিকদি, বালুঘাট এর হত দরিদ্র মানুষরা ও বিপদেআপদে হাজী মোঃ বসির আহম্মেদ ভাই এর কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে থাকেন। প্রতিবেদকের কাছ থেকে এই তথ্য শুনে অত্যন্ত বিনয়ী ও সাদা মনের মানুষ জনাব হাজী মোঃ বসির আহম্মেদ ভাই বলেন, আমি জানিনা আমি কি করতে পেরেছি, কতোটুকু করতে পেরেছি। তবে আমি প্রতিনিয়ত মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি এবং আমৃত্যু করে যাবো। তিনি আরো বলেন, মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকেনা আর মৃত্যুর পর কেউ তার সম্পদ নিয়ে যেতে পারেনা। তাই আমি মনে করি প্রত্যেক মানুষের উচিৎ মানুষের জন্য কিছু করা।
প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল মাতুব্বর এর সাথে। তিনি বলেন, বসির ভাই আওয়ামী পরিবারের মানুষ। তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতা। দলে বসির ভাইয়ের মতো নেতাদের প্রয়োজন। তিনি বসির ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান।