মহাসমারোহে চলছে টি-২০ বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এবারের টুর্নামেন্টেও ফেভারিট হিসেবেই অংশ নিয়েছিলো দলটি। তবে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালে খেলাটাই শঙ্কায় ফেলেছে কাইরন পোলার্ডরা। আর অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
মারকারামের ব্যাটে ১০ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ফিরে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, আন্দ্রে রাসেলের সরাসরি থ্রুয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩ বলে ২ রান। শুরুর ধাক্কা সামলে নেন ওপেনার রেজা হেনড্রিকস ও তিনে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, ঝুঁকি না নিয়েও দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান দুজন।
দারুণ খেলতে রেজা হেনড্রিকস ৩০ বলে ৩৯ রান করে আউট হলে ভাঙে ৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন সাবধানী ব্যাটিং করলেও চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন এইডেন মারকারাম।
শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সমীকরণ ছিল ৪৪ রানের, উইকেটে দুই সেট ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মারকারাম। ১৫ তম ওভারে আসে ১১ রান, পরের ওভারে আরও ১০ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন ভ্যান ডার ডুসেন।
ভ্যান ডার ডুসেনের ৫১ বলে ৪৩ ও এইডেন মারকারামের ২৬ বলে ৪ ছক্কায় ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১০ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুবাইয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধুকতে থাকেন ক্যারিবিয়ান দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইস, ৩ ওভারে ৬ রান তোলার পর হাত খুলে খেলতে থাকেন লুইস। কাগিসো রাবাদার করা চতুর্থ ওভারে ১ ছক্কা ও ১ চারে ১২ রান আসে, পরের ওভারে এইডেন মারকারামের উপর ঝড় বইয়ে দেন লুইস।
২ ছক্কায় আসে ১৮ রান, পাওয়ার প্লেতে আসে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান। এরপর লুইস এক পাশে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও টি-টোয়েন্টি স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলেন লেন্ডল সিমন্স, তার তৈরি করা চাপেই আউট হন লুইস।
৩৫ বলে ৬ ছক্কায় ৫৬ রান করা লুইসের বিদায়ে ভাঙে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি, ৭ বলে ১২ রান করে আউট হন নিকোলাস পুরান। দলকে ভোগানো লেন্ডল সিমন্স ৩৫ বল খেলে করেন ১৬ রান, ছিল না কোন বাউন্ডারি। ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকেও আসে ১২ রান।
কাইরন পোলার্ড ছাড়া আর কোন ব্যাটার দুই অঙ্কই স্পর্শ করতে পারেনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজও সম্ভাবনা তৈরি করেও চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়তে পারেনি। শেষ ৫ ওভারে ৪৮ রান তুললেও হারিয়েছে ৫ উইকেট, ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস থামে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে।
ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ১৭ রান দিয়ে ৩ ও কেশব মাহারাজ ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।