প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান গতকাল পদত্যাগপত্র জমা দিলে তা অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর মাধ্যমে তাঁর মন্ত্রিত্বের অবসান ঘটল। গত রাতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্রের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অনুমোদনের পর তা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, নারীদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছেন মুরাদ হাসান। এরই মধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। চট্টগ্রামে পাঁচতারা রেডিসন ব্লু হোটেলে উঠেছিলেন তিনি। রাতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁকে ফোন করে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানান। এরপর তিনি ঢাকায় ফেরেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মুরাদ হাসান তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগপত্র পাঠান। পরে গিয়াস উদ্দিন তা প্রিন্ট করে সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে যান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মূল পদত্যাগপত্র পাঠাতে বলা হলে মুরাদ হাসান লোক মারফত পদত্যাগের মূল কপি পাঠিয়ে দেন। তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের কাছে পৌঁছে বিকেল ৩টায়।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া পদত্যাগপত্রে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আবেদন করেন মুরাদ হাসান। তবে পদত্যাগপত্রে নিজের নিয়োগ পাওয়ার সালটিও ভুল লেখেন মুরাদ।