সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়ে তাদের মাটিতে প্রথম বারের মতো সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা।
সেঞ্চুরিয়ানের সুপারস্পোর্ট পার্কে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তাসকিনের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাসকিন মাত্র ৩৫ রানে নেন ৫ উইকেট। জবাবে তামিম ইকবালের অপরাজিত ৮৭ রানে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আর গড়ে ইতিহাস।
উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসকে নিয়ে গড়েন ১২৭ রানের জুটি। ৫৭ বলে ৪৮ রান করে লিটন ফিরে গেলেও অবিচল থাকেন তামিম। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৮২ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ দশমিক ৫ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ৯ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। তাসকিন শুরুটা করেছিলেন কাইল ভেরেইনেকে দিয়ে। এরপর তিনি একে একে সাজঘরে পাঠান জানেমান মালান, প্রিটোরিয়াস, ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদাকে।
History for Bangladesh 🎉
They record their first-ever bilateral ODI series victory in South Africa with an emphatic nine-wicket win in the final match 👏 #SAvBAN pic.twitter.com/OJoAisR1OI
— ICC (@ICC) March 23, 2022
দুটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রোটিয়াদের পক্ষে ওপেনার জানেমান মালানের ৩৯ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষদিকে কেশব মহারাজ ২৮ রান করেন। এছাড়া ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২০ ও ডেভিড মিলার ১৬ রান করেন। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগেও সিরিজ জয়ের ইতিহাস আছে বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।