মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বহিষ্কৃত দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুসলিম দেশগুলোতে আগেই তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় বিজেপির দুই নেতার নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেছেন, বিজেপির দুই কর্মকর্তার আপত্তিকর মন্তব্যের নিন্দা জানাই। এই মন্তব্যের ব্যাপারে দলটি প্রকাশ্যে নিন্দা করায় আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেছেন, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চপর্যায় থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিতভাবে কাজ করি। মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে ভারতকে উৎসাহিতও করি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নূপুর শর্মা। চলতি বছরের ২৬ মে টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর বিজেপির দিল্লি শাখার তৎকালীন গণমাধ্যম বিষয়ক প্রধান নবীন জিন্দাল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এক টুইট বার্তায় তিনি অবমাননাকর মন্তব্য করে তোপের মখে পড়েন।
বিজেপির দুই নেতার আপত্তিকর মন্তব্যে মুসলিম দেশগুলোতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কূটনৈতিক সংকটের একপর্যায়ে দুই নেতাকে বহিষ্কার করে বিজেপি।
উপায়ান্তর না দেখে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন নূপুর শর্মা। নবীন জিন্দালও তার করা টুইট সরিয়ে নেন। ইমেজ রক্ষার তাগিদে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই নেতা যা বলেছেন, সেটা তাদের নিজস্ব মত। এটা ভারত সরকারের মনোভাব নয়। ভারত সরকার সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম দুটি গণতান্ত্রিক দেশের অভিন্ন স্বার্থও রয়েছে তাতে; বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান চীনকে রুখতে তারা এক হয়ে থাকতে চায়।