১৪ রানে জীবনদান পাওয়া বেয়ারস্টো চতুর্থ দিনের শেষে ৭২ রানে ব্যাট করছেন।
এজবাস্টনে জয়ের জন্য ৩৭৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তবে দুই ব্রিটিশ ওপেনার ইনিংসের শুরুটা করে দারুণভাবে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রাউলি। তবে ১০৭ থেকে ১০৯, মাত্র ৩ রানের মধ্যে ৩টি (ক্রাউলি, পোপ ও লিসের) উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেয় ভারত।
এই অবস্থায় জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট দলকে নির্ভরতা দেওয়ার লড়াইয়ে নামেন। এক্ষেত্রে ভাগ্য সঙ্গ দেয় বেয়ারস্টোকে। তিনি ব্যক্তিগত ইনিংসের শুরুতেই হনুমা বিহারীর হাত থেকে জীবনদান পেয়ে যান।
ক্যাচ মিস হওয়ার পরে আর পিছন ফিরে তাকাননি বোয়ারস্টো। দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন তিনি। অথচ বেয়ারস্টোর ক্যাচটি যদি ধরতে পারতেন বিহারী, তবে ছবিটা অন্যরকম হতো নিশ্চিত।
৩৭.৪ ওভারে সিরাজের বলে বিহারী বেয়ারস্টোর ক্যাচ ধরতে পারলে ব্রিটিশ তারকাকে ব্যক্তিগত ১৪ রানে সাজঘরে ফিরতে হতো। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিনের শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৭২ রান করে। জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই দেড়শো রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন বেয়ারস্টো।
উল্লেখ্য, জয়ের জন্য ৩৭৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রান তুলেছে। সুতরাং, শেষ দিনে ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডের দরকার মাত্র ১১৯ রান।