আজ শুক্রবার (২২জুলাই) তাজউদ্দীন আহমদের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চিএনায়ক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরুন সরকার রানা এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী ২৩ জুলাই জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেছে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বাঙালি জাতি কখনো ভুলবেনা।
আমরা বাঙালি জাতি চিরঋণী তাজউদ্দিন আহমেদের কাছে। ২৩ শে জুলাই ১৯২৫ সালের এই দিনে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের অনন্য এক প্রতীক তাজউদ্দীন আহমদ।
তাজউদ্দীন আহমদের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে সরে যান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতক চক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করে। পরে তাঁকে জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়। বন্দী থাকা অবস্থায় তাঁকে এবং আরও তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যন্তরে একই বছরের ৩ নভেম্বর ঘাতকচক্র নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।