মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এশিয়া সফর শুরু করেছেন। গতকাল রবিবার পেলোসির কার্যালয় জানায়, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করবেন তিনি। তবে আলোচিত সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরের কথা উল্লেখ করেনি তাঁর কার্যালয়। ফলে বিষয়টি অনিশ্চিত বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয় গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সফরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অংশীদারি এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ওপর আলোকপাত করা হবে। এ ছাড়া বাণিজ্য, জলবায়ু সংকট এবং মানবাধিকার নিয়েও আলোচনা হবে।
এর আগে এক টুইট বার্তায় ডেমোক্র্যাট দলের নেত্রী পেলোসি বলেন, ‘আমাদের সহযোগী ও বন্ধুদের দেওয়া দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করতে ছয় সদস্যের কংগ্রেস প্রতিনিধিদল এই অঞ্চল (ইন্দো-প্যাসিফিক) সফর করবে।’
গত ২৫ বছরে নির্বাচিত উচ্চপদস্থ কোনো মার্কিন নেতা স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ান সফর করেননি। ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করবেন বলে সম্প্রতি জল্পনা শুরু হয়। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ দাবি করে থাকে চীন। পেলোসি দ্বীপটি সফর করলে ‘মারাত্মক পরিণতি’ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দেশটি।
পেলোসির সফরের পরিকল্পনা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী মনে করে এই মুহূর্তে পেলোসির তাইওয়ান সফর বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
তাইওয়ানের সঙ্গে মিত্রতা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রেখেছে চীনের সঙ্গেই।
চীনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেশ আগে থেকেই সোচ্চার ন্যান্সি পেলোসি। বিশেষ করে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন তিনি। গত এপ্রিলেই তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা ছিল পেলোসির। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সে যাত্রায় সফর স্থগিত করেন তিনি। জুলাই মাসের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ‘তাইওয়ানকে সমর্থন করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’