1. admin@jationews24.com : admin :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন

বীর মুক্তিযোদ্ধা’ ‘শব্দসৈনিক’ সংগীত শিল্পী উমা খানের জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের শুভেচ্ছা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩২৪ পড়া হয়েছে
জাতীয় নিউজ ২৪
ছবি: জাতীয় নিউজ ২৪ ডেস্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক

বীর মুক্তিযোদ্ধা’ ‘শব্দসৈনিক’ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী গুণী সংগীত শিল্পী উমা খানের জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শুভকামনা জানানো হয়েছে।

উমা খান একজন বিশিষ্ট প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পী। তিনি ‘হাছন রাজা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ মহিলা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

জাতীয় নিউজ ২৪

Advertisements

জন্ম থেকেই পারিবারিক সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী শিল্পী উমা খান।

পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বীনাজুরি গ্রামে হলেও উমার জন্ম ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জের প্রবাল চৌধুরী সড়কের দেওয়ানজী পুকুর লেনে।

তাঁর অপর ভাই বোন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘শব্দসৈনিক’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ প্রবাল চৌধুরী ও কল্যাণী ঘোষ।

তাঁদের পরিবারের দশ ভাইবোনেরা সকলেই শৈশবে মা লীলাবতী চৌধুরীর কাছে সঙ্গীত নৃত্য ও অভিনয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের সাত ভাইবোন ও ভাইয়ের স্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা।

‘শব্দসৈনিক’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ উমা খান ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় তার অন্যান্য সাত ভাইবোন এবং বৌদিসহ বড় বোন কল্যাণী ঘোষের পরিচালনায় ‘বাংলাদেশ তরুণ শিল্পী গোষ্ঠী’ ড. সনজীদা খাতুন, ওয়াহিদুল হক, চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান, কলকাতার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী দীপেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত ‘বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’ এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেত্রি রুমা গুহঠাকুরতার ‘ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার’ এর সদস্য হয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করেছেন।

এছাড়াও তাঁদের বড় ভগ্নিপতি বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক চিফ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত এস সি দাশ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন।

জাতীয় নিউজ ২৪

Advertisements

উমা খানের স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর গার্লস হাই স্কুল এবং মহসিন কলেজে।

ভারতের প্রথিতযশা শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, আরতী মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত প্রমুখের সঙ্গে সলিল চৌধুরীর রচনা ও আমাদের সমর দাশের সঙ্গীত পরিচালনায় কলকাতার এইচএমভি থেকে লং প্লেইং রেকর্ডে তার দুই ভাইবোন শিল্পী প্রবাল চৌধুরী কল্যাণী ঘোষের সাথে উমারও গান গাইবার বিরল সৌভাগ্য হয়েছে।

উমা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কনিষ্ঠতম শিল্পী ছিলেন। ১৯৭১ সালে এই বেতার কেন্দ্র থেকে পঞ্চাশের অধিক গানে কণ্ঠ দেন তিনি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর উমা খানের চলচ্চিত্রে প্রথম কন্ঠদান বাংলাদেশের প্রথম রঙিন বাংলা চলচ্চিত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আজমল হুদা মিঠু প্রযোজিত ‘বাদশা’ ছায়াছবিতে বহুল প্রসংশিত ও জননন্দিত ‘আরে ও প্রাণের রাজা তুমি যে আমার, কাছে কাছে থেকো মোর চাই না কিছু আর’ গানটিতে তিনি তাঁর বড় ভাই প্রয়াত প্রবাল চৌধুরীর সঙ্গে দ্বৈত কন্ঠে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

নেপথ্য কন্ঠদান করেছেন যেসব ছবিতে – প্রিয় বান্ধবী, বাদশা, মালা, সোহাগ, বৌরানী, ধনদৌলত, ঘরসংসার, কন্যাবদল, মাটির মানুষ, দাতা হাতেম তাঈ, অংশীদার, নীতিবান, গাঁয়ের ছেলে, দোস্তী, কালো গোলাপ প্রভৃতি।

তিনি উল্লেখযোগ্য আরো যে কয়েকটি চলচ্চিত্রে নেপথ্য কন্ঠ দান করেছেন সেগুলো হলো – বাজিগর, প্রিয় তুমি, আশা আমার আশা, সাগরিকা প্রভৃতি।

মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানু, উদিত নারায়ন, বিনোদ রাঠোর, বাবুল সুপ্রিয়র মতো জনপ্রিয় গায়কদের সাথে উমা খান গান গেয়েছেন।

ব্যক্তিজীবনে অভিনেতা হেলাল খান তার স্বামী। তাদের দুই সন্তান আছে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি চিত্রনায়ক এম, এ আলমগীর এবং সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী উমা খানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেইসাথে এই গুণী শিল্পীর জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এই ধরণের অন্যান্য সংবাদসমূহ...


© 2020 জাতীয় নিউজ ২৪। সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

কারিগরি সহায়তায়- White NS

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST