জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত, স্নেহভাজন ও আস্থাভাজন, মুজিবাদর্শের একজন খাঁটি পরীক্ষিত-ত্যাগী সৈনিক, ভোগে নয় ত্যাগে বিশ্বাসী একজন মানুষ অরুণ সরকার রানা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগের মতো এখনো তিনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন। অনেকেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, যারা পায়ে হেঁটে যেতেন তারা এখন গাড়িতে চলেন। অরুন সরকার রানা একটি মুজিব কোট কমদামি পাঞ্জাবি পাজামা এটাই তার বড় সম্বল। ৫ ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করেন তার কষ্টের কথা কাওকে বলেন না, নব্য আওয়ামীলীগরা যাদের বাপ-দাদারা মুসলিম লীগ করতো, মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বিরোধিতা করেছেন, তাদের সন্তানরা অতীত ইতিহাস মুছে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের পতাকা তলে এসে টাউটার বাটপার তদবিরবাজ, ধান্দাবাজ যারা আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে খায়।
কিন্তু অরুন সরকার রানা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ ভোগে নয় ত্যাগে বিশ্বাসী। নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করেন না, আওয়ামীলীগের স্বার্থের কথা চিন্তা করেন। অরুন সরকার রানা একজন সৎ মানুষ মনে প্রাণে আওয়ামীলীগ ও শেখহাসিনার কর্মী সেই কারনে ধান্দাবাজ টাউট বাটপাররা অরুণ সরকার রানা কে পছন্দ করে না। আওয়ামী লীগের ভালো জায়গায় স্থান পায় না। চামচামি দালালি করতে তেল মারতে পারেননা। মুন্সিগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকা শ্রীনগর সিরাজদিখানের গর্বিত সন্তান অরুন সরকার রানা। তবে তার জন্ম ওয়ারি ১৩ নম্বর শশী মোহন বসাক লেন এ।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এদেশের বুদ্ধিজীবী শিল্পী সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে জনগণের ভোট ও ভাতের প্রচেষ্টার দাবিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে আওয়ামী লীগ এর চরম দুঃসময়ে যখন কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম সাহস করে বলেন বলেননি, আওয়ামী লীগারর হিসেবে পরিচয় দেননি তখন ১৯৭৬ সাল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের জন্য। নিষ্ঠার সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।১/১১ সময় সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলনে ও মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ৪৫ বছর ধরে রাজপথে আছে। পেটে ভাত নেই সংসার চলেনা বাচ্চার দুধ নেই। সেই চিন্তা নেই, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি তিনি বাদ দেন নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে কিছু আর্থিক সহায়তা করেছেন। অরুন সরকার রানা দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ, তার মা, স্ত্রী ও অসুস্থ, ৫ টি সন্তান লেখাপড়া করে। সংসার চালাতে হিমশিম খায়। মুখ ফুটে তার অভাবের কথা কাউকে বলে না। তার বাসায় গিয়ে কেউ দেখেনি ও পরিবারের খোঁজ খবর নেয়নি কোন বড় পত্রিকার সাংবাদিকরা এমন নিরীহ সৎ নিরহংকারী মানুষ যাকে মাটির সাথে তুলনা করা যায়।
অরুণ সরকারের টাকা নেই পয়সা নেই তাই বলে তার সততার কথা কেউ তুলে ধরবে না, চাপাবাজ, ধান্দাবাজ, সুযোগ সন্ধানী যারা রাজনীতি করে, তাদের সাথে অনেকেরই সম্পর্ক আছে তাদের গুণ-কীর্তন অনেকেই তুলে ধরেন তবে সততার মূর্ত প্রতীক অরুণ সরকার রানার মতো ত্যাগী সৎ নিরহংকারী নেতারা আমাদের ইতিহাসে চাপা পড়ে থাকে।