জ্বালানি খাতে রাশিয়ার চলমান বড় ধরনের হামলার প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ জন্য নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দেশটি।
আসন্ন শীতের আগে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি অবকাঠামোতে রুশদের হামলার কারণে বড় ও দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের এ সিদ্ধান্ত এলো।
ইউক্রেনীয়দের ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, মাত্র এক সপ্তাহের টানা রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশটির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অন্তত ৩০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
উদ্যোক্তা, বিজ্ঞাপনদাতা, বিক্রয়কেন্দ্র, ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ মালিকদের বিজ্ঞাপনী স্ক্রিন ব্যবহার এবং আলোকোজ্জ্বল সাইন ‘যতটা সম্ভব’ কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিতশ্চিকো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ক্লিতশ্চিকো বলেন, ‘একদম স্বল্প পরিমাণে সাশ্রয়ী হলে এবং প্রতি বাড়িতে বিদ্যুতের খরচ কমে এলে তা জাতীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কার্যক্রমকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে।’
পশ্চিম ইউক্রেনের ইভানভো-ফ্রাংকিভস্ক অঞ্চলে এরই মধ্যে ২০টি বিদ্যুৎনির্ভর শিল্প-কারখানাকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় এক বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের পানি ফোটানোর বৈদ্যুতিক কেতলি এবং ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার ‘কমিয়ে আনতে’ বলেছে।
একই চিত্র দেখা গেছে লভিভ ও শেরনিভিতসিতেও। ওই দুই অঞ্চলের বেসরকারি বিদু্যত্ সেবা প্রতিষ্ঠানও শিল্প-কারখানার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের এ নির্দেশনা ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সংস্থা’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে বিধি-নিষেধ সামনে এলেও এখনো ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো কোনো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি জনসাধারণকে।
শেরনিভিতসিয়োবে্লনারজো নামের এক বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদ্যুৎ চালিত পরিবহন, তাপ ব্যবস্থা, পানি সুবিধা, হাসপাতাল এবং বেকারি এই সীমিতকরণের বাইরে পরিচালিত হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রেল পরিবহন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে ট্রেনের মধ্যবর্তী বিরতির সময় বৃদ্ধি করছে তারা।