হলোনা ভারত-পাকিস্তানের আরেকটি ফাইনাল। তবে আবারো হতে যাচ্ছে ১৯২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। কেননা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড। ১৯২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১০ উইকেট ও ২৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।
জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে তিনটি বাউন্ডারি মারেন জস বাটলার। প্রথম ওভারেই ১৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। সেই থেকে শুরু এরপর প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন হেলস-বাটলার। পাওয়ারপ্লেতে দুজন যোগ করেন ৬৩ রান।
ঝড় তুলে মাত্র ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ন করেন। হেলস, পথে মারেন একটি চার ও পাঁচ ছয়। বাটলার কিছুটা ধীরগতির হলেও হেলস হয়ে উঠেন আরো ভয়ংকর। পান্ডিয়া-অশ্বিনদের কাউকেই ছাড় দেননি এই ব্যাটার। ৩৬ বলে দারুণ ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন বাটলারও। দলকে জিতিয়ে হেলস ৮৬ ও বাটলার ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুতেই লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায়। প্রথম উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তবে, উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি রোহিত।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ রান তোলার পর দলীয় ৫৬ রানে ব্যক্তিগত ২৭ রানে আউট হয়ে ফেরেন রোহিত। তৃতীয় উইকেটে সূর্য ও কোহলি ১৯ রান যোগ করেন। সূর্য ঝড় তোলার আগেই রশিদের শিকারে পরিণত হন। চতুর্থ উইকেটে এসে পান্ডিয়া ও কোহলি ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন।
দলীয় ১৩৬ রানে কোহলি ৪০ বলে ১ ছয় ও ৪ চারে ৫০ রান করে বিদায় নেন। এটি তার ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফ সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে তার রান গিয়ে দাঁড়ায় ২৯৬। কোহলির বিদায়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন পান্ডিয়া।
শেষ পর্যন্ত পান্ডিয়া ৩৩ বলে ৫ চার ও ৪ চারে করেন ৬৩ রান। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেটের শিকার হন পান্ডিয়া। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশত রানের ইনিংস। এতে ভার গিয়ে থামে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে।