হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। আধাসরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের মহাকাশ কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে। তার এই বক্তব্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উচ্চ গতি রয়েছে এবং এটি বায়ুমণ্ডলের ভেতরে ও বাইরে চলতে পারে। এটি শত্রুর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে।’
হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের গতির চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ দ্রুত এবং একটি জটিল গতিপথে উড়তে পারে। ফলে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো বেশ কঠিন।
যদিও ইরানের এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে একটি বৃহৎ দেশীয় অস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে। পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান অনেক সময় তার অস্ত্রের সক্ষমতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে থাকে।
২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরান পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে উদ্বেগের কারণে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়।
এদিকে ইরান গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা ঘায়েম ১০০ রকেটের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। যার মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার কক্ষপথে ৮০ কেজি ওজনের উপগ্রহ স্থাপন করা সম্ভব হবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘অস্থিতিশীল’ বলে অভিহিত করেছে। কারণ তারা বিশ্বাস করে যে মহকাশে উৎক্ষেপণ করা যানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। যদিও ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির কথা অস্বীকার করেছে।
সূত্র : রয়টার্স