অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর ২৪শে মে থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১৭ই মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আবাসিক হল খোলার আগেই ১২০টি হলের এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী সেইসঙ্গে শিক্ষক কর্মচারীদের টিকা দেয়া ব্যবস্থা করতে হবে।
সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
যারা বিসিএস পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ- বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাপেক্ষে পিছিয়ে দেয়া হবে।
এছাড়া বয়সের কারণে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তাদের ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে যদি কেউ শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত হন, তাহলে তাদের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান নেবে না।
সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভ্যন্তরীণ বিষয় সামাল দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে শনি এবং রোববার জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে হলে ঢুকে পড়ে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খুলে দেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ১৭ মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। যা আজ পর্যন্ত চালু হয়নি।
এতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
advertisement
রোববার রাতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে বাকি সব হল খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।
ওই রাতেই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারও দেয়া হয়।
যদিও প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে সোমবার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের গেট খুলে এবং ভেতরের তালা ভেঙে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা এভাবে হলে প্রবেশ করার কথা জানান।