অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর সামরিক বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেই সাথে সেনাবাহিনীকে সংযত হওয়ারও আহ্বানও জানিয়েছে তারা। চীন ও রাশিয়া, ভারত ও ভিয়েতনামের বিরোধিতার মুখে সামরিক বাহিনীর এই অভ্যুত্থানকে ন্যাক্কারজনক কাজ হিসেবে নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হলেও এই অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
নারী-শিশুসহ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জোরালো নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, আমরা সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গেল একমাস ধরে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে মিয়ানমার জুড়ে। গেল মাসের ১ তারিখ দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টক আটক করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। বুধবার রয়টার্স প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, মিয়ানমারের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির মুখে প্রাণ বাঁচাতে ছুটোছুটি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে দেখা যায় এক সন্ন্যাসিনী হাটু গেড়ে বসে বাচ্চাদের প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন।
সামরিক সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভে দমনপীড়নের পাশাপাশি বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে তারা। এদিকে, সামরিক সরকারের আদেশ পালন না করার জন্য ভারতের কাছে আশ্রয় নিয়েছে ৩ পুলিশ কনস্টেবল।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর বিক্ষোভে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৬০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।