টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সবার চাইতে বেশি ১৬৪ টি ম্যাচ খেলে ১০০ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে আছে সুপার ওভারে জয়ও।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ জয়ের দিক থেকে পাকিস্তানের পরে আছে ভারত। ১৪২ ম্যাচ খেলে, ৮৮ টি জয় তাদের ঝুলিতে। এরপর সমান ৭১ টি জয় আছে তিন দলের- দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
ক্রিকেটের এই সংস্করণে বাংলাদেশ ৯৯ টি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে ৬৫ ম্যাচে পরাজয় আর জয় ৩২ টি। যা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
Pakistan have become the first team to win 100 men's T20Is (excluding Super Overs) 👏👏👏 pic.twitter.com/ywWfPnyE14
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) April 10, 2021
ইতিহাস গড়ার এই ম্যাচে রাবাদা-মিলার আর অধিনে বাভুমাকে ছাড়া টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এরপর বড় জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম ও অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন।
অসাধারণ ব্যাটিং করে দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। ৩২ বলে ৫১ রান করে ফেরেন মার্করাম। অধিনায়ক ক্লাসেন করেন ২৮ বলে ৫০ রান। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাব দিতে নেমে নিয়মতি বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম-ফখর জামানরা খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শতততম ম্যাচে খেলতে নেমে ১৩ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজও। তবে একদিক আগলে রাখেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
অসার ব্যাটিং করে ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। শেষ দিকে রিজওয়ানকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। শেষ ৪ ওভারে জিততে ৫২ রানে প্রয়োজন হলে ঝড় তোলেন দুজনেই। ১৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও এক ইনিংস খেলে ফেরেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৫০ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ১ বল আগেই জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে তবেউ মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। হাসান আলি অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৯ রানে।
এরই সাথে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডও গড়ে পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তান সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। হারেরেতে ১৮৭ রান তাড়া করেছিল তারা।