গতকাল পর্যন্ত চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোনো চুক্তি হয়নি। ঢাকায় চীনের মিশন উপপ্রধান হুয়ালং ইয়ান শনিবার এক ফেসবুক বার্তায় এমনটাই বলেছেন। তিনি জানান, বাণিজ্যিকভাবে টিকা কেনার বিষয়ে চীন সরকারের সঙ্গে নয় বরং সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা চলছে।
করোনা সংকট মোকাবেলায় চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সঙ্গে টিকা আনার আলোচনা শুরু হয় বেশ কয়েক মাস আগে। পরে জানা যায়, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারা ও সময়ক্ষেপণের কারণে টিকা কিনতে দেরি হয়েছে বাংলাদেশের। এরপরে টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আলোচনায় আসে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তি। যার জন্য চীনা ভাষায় লেখার জায়গায় সই করে ফেলা এক ধরনের চাহিদাপত্র দিয়ে পরে তা কমানোসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক নানা দুর্বলতার কথাও উঠে আসে জনসম্মুখে।
অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানিয়ে দেন ডোজপ্রতি ১০ মার্কিন ডলারে বাংলাদেশকে দেড় কোটি করোনা টিকা দেওয়ার চুক্তি করেছে চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ-সিনোফার্ম। এতে চীনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় ক্ষোভ। পরে চীনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হয় বাংলাদেশকে।
সবশেষ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে জানান, চীন সরকার তো দূরের কথা, সিনোফার্মের সঙ্গেই এখনো টিকা কেনার কোনো চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের। তবে ১৩ জুনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা, চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন জানিয়েছেন সেটিও।