অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে গতমাসেই। এবার অজিদের প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডকেও সেভাবেই আতিথেয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ। কিউইরা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে এসে প্রথম দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ নিয়েছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৮ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। সাকিব আল হাসানের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। একদিকে উইকেট পড়লেএ দলের হাল ধরে থাকেন টম লাথাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেও দলকে জেতাতে পারেননি।
শেষ ওভারে জিততে ২০ রান প্রয়োজন ছিল কিউইদের। তখন ফিফটে করে অপরাজিত ছিলেন টম লাথাম। মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে এতো রান নেওয়া মোটেও সহজ ছিলনা। শুরু থেকে ফিজ সেটাই দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ দুই বলে জিততে যখন প্রয়োজন ১৩ রান তখনই হাই নো বল দিয়ে বাউন্ডারি খেয়ে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন ফিজ।
পরবর্তীতে শেষ দুই বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৮ রানের৷ পঞ্চম বলে ২ রান নেন লাথাম। শেষ বলে জিততে প্রয়োজন ছিল ৬ রানের। কিন্তু কেবল ১ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় থাকে। এতেই ৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৯.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান যোগ করেন নাঈম।
২৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করে রাচিন রবিন্দ্রর স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন লিটন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
লিটন আউট হওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়েন মুশফিকুর রহিম। রাচিন রবিন্দ্রর বলে গোল্ডেন ডাক পান জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার বিদায়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। রাচিন রবিন্দ্রর করা বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। ৩৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করে ফেরেন তিনি।
নাঈম আউট হওয়ার পর ৩ বলে ৩ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেন। তার বিদায়ে ১৬.২ ওভারে ১০৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২২ বলে ৩২ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন সোহান। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১৩ রান করে। ৩২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ১৪১/৬ (ওভার ২০)
মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, নাইম ৩৯
রাচীন ৩/২২
নিউজিল্যান্ড- ১৩৭/৫ (ওভার ২০)
লাথাম ৬৫*, ইয়াং ২২, ম্যাককনি ১৫*
মেহেদি ২/১২, সাকিব ২/২৯