হার দিয়েই সিরিজ শেষ করলো টাইগাররা। সিরিজের পঞ্চম টি-২০ তে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ২৭ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ ম্যাচে হেরে গেলেও ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
সফরকারী নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে প্রত্যাশিত সূচনা পায়নি বাংলাদেশ। টপ অর্ডার ধসে বরং চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সেই চাপ সামলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন ও দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়ে ওঠেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে বাংলাদেশ। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসাইন। কিউইদের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন আজাজ পাটেল ও কুগ্লেইন।
মিরপুরে শেষ টি-টোয়েন্টির উইকেটটি ছিল পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। কিউইদের মতো অবশ্য বিধ্বংসী শুরু পায়নি স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ নাঈম হাত খুলে খেলেছেন ঠিকই। কিন্তু লিটন ১২ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। এজাজ প্যাটেলের স্পিনে দারুণ এক ক্যাচে ফিরে গেছেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ ম্যাচে সৌম্যকে সুযোগ দেওয়া হলেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ম্যাকনকির ঘূর্ণিতে দারুণ এক ক্যাচে ফিরেছেন মাত্র ৪ রানে। তার পরেও বাংলাদেশের স্বস্তির জায়গা ছিল নাঈমের আগ্রাসী ব্যাটিং। অষ্টম ওভারে এই আগ্রাসনই কাল হয়ে দাঁড়ায়। বেন সিয়ার্সের গতিময় এক বলে গ্লাভসবন্দি হয়ে নাঈম ফেরেন ২১ বলে ২৩ রান করে। এটি আবার সিয়ার্সের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট।
আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা মুশফিকও ফিরে যান নাঈমের পর পর। রবীন্দ্রকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ আউটে ফিরেছেন মাত্র ৩ রানে।
শেষের দিকে আফিফ-মাহমুদউল্লাহ আশা জাগালেও ২১ বলে ২৩ রান করে মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পরে সে আশা নিভে যায়। এরপর দ্রুত আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সোহান, শামীম, তাসকিনরা। তবে ৩৩ বলে ৪৯ রানে অন্য প্রান্তে ঠিকই অপরাজিত ছিলেন ইয়ংস্টার আফিফ হোসাইন।
শুরুতে কিউইরা ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পেরেছে। টস জিতে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে করেছে ১৬১ রান।
শুরুতে ফিন অ্যালেন ২৪ বলে ৪১ রানে ফিরে গেলে শ্লথ হয়ে পড়েছিল কিউইদের রানের চাকা। কিন্তু অধিনায়ক টম ল্যাথাম একপ্রান্ত আগলে শেষটা করেছেন আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। তার অপরাজিত ৫০ রানেই সমৃদ্ধ হয়েছে কিউইদের স্কোরবোর্ড।
বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল ছিলেন শরিফুল। ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান! তাসকিনও ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। নাসুম ৩ ওভারে ২৫ রানে একটি, আফিফও সমসংখ্যক ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।