নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস বলেছেন, আলমগীর কুমকুম, চিত্র নায়িকা কবরী এবং চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে দুঃসময় দুর্দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এই সংগঠনটি যখন গঠিত হয়েছিল তখন কেউ সাহস করে আওয়ামী লীগের ও বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেন না, ঠিক সেই সময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল। এই তিনজন ব্যক্তি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন জনকে, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সবাইকে ঐক্য বদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে জনগণের ভোট ও ভাত অধিকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, জনতার মঞ্চ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

Advertisements

১৯৯৬ সাল আলমগীর কুমকুম ও সারাহ বেগম কবরী নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে সারা বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচার অভিযানে আমি সহ জোটের শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আলমগীর কুমকুম, সারাহ বেগম কবরী, চিএনায়ক আলমগীর, অরুন সরকার রানা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এই ৪ জন হচ্ছে সংগঠন প্রাণ । বঙ্গবন্ধুর পরে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতা। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

Advertisements

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আলমগীর কুমকুম ও কবরী আপা এর পরে চিএনায়ক আলমগীর অরুন সরকার রানা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রকৃত দাবিদার। তারা এই সংগঠনটি দুঃসময় দুদিন থেকে আজও পর্যন্ত ধরে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট করে না। অথচ আলমগীর কুমকুমের সাথে ৪৫ বছর ধরে এই সংগঠনের সাথে যারা জড়িত। যাদের ৯৬ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতে দেখিনি আলমগীর কুমকুম, সারাহ বেগম কবরী কমিটির সদস্য ছিলেননা, তারা এখন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি নেতার দাবি করছেন। এ সম্পর্কে আলমগীর কুমকুম এর পরিবার ভালো বলতে পারবেন। কিছু আদম ব্যবসায়ী ধান্দাবাজ ওরা এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে টাকা নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞাপন নিচ্ছে। এক সময় যারা বাঙালি সংস্কৃতি মঞ্চ করেছে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, কুমকুম ভাই মারা যাবার পর তারা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা হিসেবে দাবি করছে। অরুনা বিশ্বাস বলেন, আমরা আলমগীর কুমকুম, সারাহ বেগম কবরী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট করেছি। এখন আমরা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট যার অফিস থেকে সৃষ্টি হয়েছে যিনি প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর তার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট করছি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরাই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট করবে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বাইরের কোনো লোক এই সংগঠন নেতৃত্ব দেবে না। রাজনীতি করার জন্য রাজনৈতিক সংগঠন আছে সাংস্কৃতিক সংগঠন করতে হলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে যারা জড়িত তারাই করবেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের শাহবাগ থানার নেতাকর্মীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ একথা বলেন।