নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যারা বিশ্বাস করে না তারা কবরী কে ভালোবাসে না। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মনে প্রানে যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক না তারা কবরী কে স্মরণ করে না, বঙ্গবন্ধু প্রেমিকরা কখনো কবরীকে ভুলবে না।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সভাপতি খ্যাতিমান অভিনেত্রী কবরী মৃত্যুর পর ও মনে প্রানে স্বাধীনতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বিরোধী, আওয়ামী লীগ বিরোধী , যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুখে বলে অন্তরে থেকে এখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করে তারা কবরী কে সহ্য করতে পারে না, এই কারণেই কবরী কে স্মরণ করে না।

Advertisements

যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর দুঃসময় দুর্দিনে কবরীর নেতৃত্বে যেসব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংস্কৃতিক কর্মীরা রাজপথে কাজ করেছেন মনে প্রাণে আওয়ামী লীগের সৈনিক, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে ভাগ্য গড়ার জন্য নয়, টাকা কামানোর জন্য নয়, কবরী কে ভুলিনি কবরীর হাতে গড়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের দুঃসময়ের দুর্দিনের কর্মীরা মনে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে কবরী যে ভূমিকা আকাশবাণী কলকাতা থেকে বিশ্ববাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন বিভিন্ন দূতাবাসে মিছিল করেছিলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ জোগাড় করে মুক্তিযোদ্ধাদের ফান্ডে জমা করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর এই দাবি নিয়ে সরকারের কাছে কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেননি। নিজে কখনো ঢোল পেটাননি। তিনি সব সময় বলতেন, আমি যা করেছি নিজের দায়িত্ব থেকে করেছি। দেশ ও জাতির জন্য করেছি এর জন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহন কিংবা কোন কিছু পাওয়ার জন্য করিনি।

Advertisements

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নিজেদের দায়িত্ব থেকে জোট করেছেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দুঃসময় দুর্দিনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠন করে জীবনকে বাজি রেখে নিজের স্বার্থকে ত্যাগ করে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সেই ইতিহাস আমরা ভুলব না। সুযোগসন্ধানীরা নব্য আওয়ামী লীগাররা,নব্য বঙ্গ বন্ধুর প্রেমিকারা জানেনা এই ইতিহাস কারন আওয়ামী লীগ এর দুঃসময়েও তারা আওয়ামী লীগ করেনাই তারা আওয়ামী লীগ এর সুসময়ের বন্ধু, সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য এখন তারা আওয়ামী লীগ করে।