বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা ৪৫ বছরের রাজপথের সাহসী যোদ্ধা অরুণ সরকার রানা মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান শেখর নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের রাজনীতির একটা বড় সমস্যা হলো দলীয় প্রধানকে বেচে খাই। তাঁর অর্জন ও সফলতাকে নিজের বৈতরণী পার হওয়ার অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করি।
দলীয় প্রধানের অর্জন ও সফলতাকে প্রচার করে দলের ইমেজ কাজে লাগাবেন এতে দোষের কিছু নেই। দল যদি আপনাকে গ্রহণ করে তাহলে আপনি তা ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে নিজে কোন কিছুই অর্জন করবেন না। দল ও দলীয় প্রধানের অবদান, সুনাম ও অর্জন ব্যবহার করবেন কিন্তু দলকে কিছু দিবেন না তা তো হতে পারে না।
আপনি যেমন দলের অর্জন ও সফলতা নিয়ে গর্ব করেন দলেরও তো আপনাকে নিয়ে গর্ব করার অধিকার আছে। আপনি কি এমন কিছু অর্জন করতে পেরেছেন যে দল বা দলীয় প্রধান আপনাকে নিয়ে গর্ব করবে। আপনার সফলতা ও অর্জনকে দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করবে। যেমন–শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠেছে। সব সেক্টরে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। আমার কথা হলো শেখ হাসিনা এত কিছু করলো আপনি কি করেছেন? শেখ হাসিনাকে বিক্রি করে আর কতদিন চলবেন?
শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। উন্নতির শিখরে পৌছে দিয়ে চলেছেন। দেশের অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন। আপনি কার জন্য কি করেছে? নাকি নিজের আখের গুছিয়েছেন, ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়িয়েছেন, ব্যবসাটাকে মোটাতাজা করেছেন, বাড়ীটাকে বড় করেছেন। গাড়ীটা পরিবর্তন করেছেন…
নিজেকে প্রশ্ন করুন, সামনে কিন্তু সময় আসতেছে…মানুষ প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবেন তো। জননেএী শেখ হাসিনার আলোতে আলোকিত। তার উন্নয়ন কর্মকান্ড কে ঘরে ঘরে গিয়ে বুঝাতে হবে, তুলে ধরেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর লাশ ৩২ধানমন্ডি নম্বরে পড়েছিল আমরা দেখতে যাইনি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এই দুঃখ কষ্ট আমাদের চিরজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। আমরা পরাজিত সৈনিকের মতো ঘরে বসে ছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারতাম না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো করতে পারতাম না ওদের ১ টা চুুল ছিরতে পারতাম না। মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয় দিতে পারতেননা। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ আছে।