৭ জুন ২০২২ইং রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা। বক্তব্য রাখেন শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাট্যশিল্পী তানভীন সুইটি, সাংবাদিক সুজন হালদার, কন্ঠশিল্পী নায়ক এস.ডি রুবেল, কবি লেখক সাহিত্যিক মুনা চৌধুরী, প্রাবন্ধিক ড. লায়ন মিজানুর রহমান, মিতু মাদবর, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হোসেন সিরাজী, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান অপূর্ব, কাঞ্চন মল্লিক, নাট্যশিল্পী পারুল আক্তার লোপা, অপু হোসেন, রাজ সরকার, বিদ্যুৎ সরকার, দিলীপ সরকার, সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশ যখন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই একটি মহল সুবিধা অর্জনের জন্য দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিএনপি জামাত তাদের বিভিন্ন অপশক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তাদের হিংসা হয়। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে জনগণকে সাথে নিয়ে সকল অপশক্তির মোকাবেলা করবে।
বক্তারা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ভাষায় স্লোগান দেয় সেটাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অতন্দ্র প্রহরীর মত পাহারা দিতে হবে।
বক্তারা আগামীতে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম প্রতিবাদ প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ সময় তারা আরও বলেন, এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে এবং কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব অপশক্তি মোকাবিলা করা হবে। বক্তারা আরও বলেন, ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল এবং জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি করেন।