বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং প্রচার সম্পাদক বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক জীবনের ৪৫ বছর ব্যয় করেছেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের পিছনে। বিনিময়ে কিছুই পাননি কিছু চাননি, যদি সংগঠন না করতেন নাট্য চলচ্চিত্রাঙ্গনে অনেক বড় জায়গায় স্থান করে নিতে পারতেন, অনেক টাকা পয়সার মালিক হতে পারতেন তা তিনি করেনি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে একজন ত্যাগী মানুষ হয়েছেন। তিনি কিছুই বোঝেন না বুঝেন বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামীলীগ পাগল মানুষ, নিজ পরিবারের কথা ভাবেন না। ৭৫ এর পর শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী আইনজীবী সংস্কৃতিকর্মীদের একতাবদ্ধ করেছেন। অনেকের হাতে পায়ে ধরেও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের এনেছেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যত শিল্পীরা আছেন যারা বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন সবাইকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য করেছেন অরুন সরকার রানা। শিল্পীদের বাড়িতে কয়েকবার গিয়ে রাজি না হওয়া পর্যন্ত সেই বাড়ি ছাড়েনি। মেয়েরা বড় হয়েছেন বিয়ে দিতে হবে সেই বিষয়ে চিন্তা নেই, ২ টা ছেলেকে মানুষ করতে হবে সে চিন্তা নেই সারাক্ষণ তার মাথায় জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক বি,টি,ভি,২০১০/খন্ড ১!৩১৯ তারিখ ১০/৫/২০১০ থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর নাট্য শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত একজন, তাছাড়া নাট্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের সাথে জড়িত ছোট খাটো অভিনয় করেছেন। ১৯৭৭ সাল থেকে আলমগীর কুমকুম, সারাহ বেগম কবরী, চিত্রনায়ক আলমগীর এর সাথে সহকারী হিসাবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে কাজ করেছেন। অডিশন দিয়ে বি,টিভিতে বিএনপি সরকারের আমলে পাশ করার পরও তালিকাভুক্ত করা হয় নাই। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক কাজে ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সময় দেওয়ার কারনে চলচ্চিত্র নাট্যাঙ্গনে অনেক বড় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনাই।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকাল প্রাইভেট ২/৩ কোম্পানি থেকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশনিয়ে অফিস কামাই করার কারণে চাকরি চলে গিয়েছিল। অনেক দিন না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। এমন সত্যনিষ্ঠ মানুষ রাজনীতিতে ১ লাখে ১ জন পাওয়া জায়না। অরুণ সরকার রানা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ত্যাগী কমী, ভোগের আশা করে না, নীতির সাথে আপোষ করেনাই, দলের সাথে বেইমানী করেন না, স্বার্থের পাশে দৌড়ান না, দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেন। একজন নারী ব্যক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন, তিনি যখন মিথ্যা মামলা অরুণ সরকার রানা কে দিয়েছিলেন তখন তার মা শোনার সাথে সাথে ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। আজ পঙ্গু হাটঁতে পারেন না, স্ত্রীরও ব্রেনের সমস্যা হয়েছিল, সেই থেকে চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ হয়ে গেছে ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আওয়ামীলীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কিছু সুযোগ-সন্ধানী ব্যক্তি যারা চাকরি করতেন সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অরুণ সরকার এর অবদান এ তার ১৬ ভাগে ২ ভাগ অবদানও তাদের নেই। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযুদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মীরা বি,এন,পি সহ অন্যান্য সরকারের সাথে আঁতাত করেছেন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন নিরপেক্ষ ব্যক্তি হয়ে। সেই হিসাব করলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসেবে অরুন সরকার রানার ওজন এক মন হলে তাদের ওজন এক ছটাক। এরা আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোনো কাজ করেনি, অনেক এ বলেছে আমি আওয়ামী লীগ করিনা অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বড় আওয়ামী লীগার হয়ে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরা দরকার। দুদক-কে তদন্ত করা দরকার, চাকরী করা অবস্থায় কত টাকার মালিক ছিল আর এখন কত টাকার মালিক হয়েছেন।