যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির শরীরে শুক্রবার রাতে (বাংলাদেশ সময়) অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারী ছুরি দিয়ে রুশদির ঘাড় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে বেশ কয়েকবার আঘাত করেছিল।
বিতর্কিত স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাস লেখার পর থেকে সালমান রুশদি অনেকদিন ধরে হুমকির মুখে রয়েছেন। বইটির বিষয়বস্তু অনেক মুসলিমকে আহত করেছিল। ইসলামের প্রতি অবমাননাকর আখ্যা দিয়ে ইরানের প্রয়াত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছিলেন।
বাফেলো নিউজের প্রতিবেদক মার্ক সোমার বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, কালো মাস্ক পরা হামলাকারী দর্শকদের মধ্য থেকে উঠে এসে মঞ্চে লেখকের ওপর চড়াও হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রুশদি কয়েকটি আঘাতের পর উঠে দাঁড়িয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পেছনে পড়ে যান। তাকে সেখানেই কিছু চিকিৎসা দেওয়ার পর হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুকার পুরস্কার বিজয়ী ৭৫ বছর বয়সী রুশদি পশ্চিম নিউইয়র্কের একটি শিল্পসংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন।
হামলাকারীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ উপন্যাসিক সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সাহিত্য সমালোচকরা তাকে ইংরেজি ভাষার কৃতী লেখকদের একজন মনে করেন। তবে চতুর্থ বই ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত স্যাটানিক ভার্সেস দিয়ে তিনি বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। অনেক দেশে পরাবাস্তববাদী, উত্তর-আধুনিক বইটি নিষিদ্ধ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ বিভিন্ন ব্রিটিশ নেতা ও বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি সাহিত্যিক রুশদির ওপর হামলার নিন্দা করেছেন। মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন এক টুইটে নিন্দা করে বলেছে, এ ধরনের সহিংসতা অনুচিত।