বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সাংস্কৃতিক অঙ্গন অভিনেতাদের মধ্যে প্রথম প্রতিবাদী কন্ঠস্বর চিত্রনায়ক আলমগীর।
১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এর সকল সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ঘটনার পরে যখন অনেকেই প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে মৌন্যতা অবলম্বন করেন তখন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সর্বপ্রথম চিএনায়ক আলমগীর চিন্তা করেন হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবাইকে নিয়ে হত্যাকারীদের বিচার এর দাবিতে একটি সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।
আলমগীর কুমকুম, শচীন্দ্র সরকার, সারাহ বেগম কবরী, অরুন সরকার রানা, শাহাদাত চৌধুরী সাধন, বাদল রহমান, টিপু মুনশি, মোবারক আলী সিকদার সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকের সাথেই পরামর্শ এবং অনুরোধ জানিয়েছিলেন সবাই একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে। তবে অনেকেই সাহস সঞ্চয় করতে পারছিলেননা এগিয়ে আসতে। অতপর জীবনের মায়া ত্যাগ করে কোন কিছু চিন্তা না করে ১৯৭৬ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় গুলিস্তানের তার নিজ অফিসে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠন করেন। খুব সতর্কতার সাথে সংগঠন এর কাজ করেছেন আলমগীর কুমকুম ও সারাহ বেগম কবরী নেতৃত্বে।
১৯৭৮ সালে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে কিনা সেই চিন্তা করেননি। কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়, নিজের দায়িত্ববোধ থেকে জাতির পিতার প্রতি ভালোবাসা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবনে ছাএলীগের জন্য কাজ করেছেন, আওয়মীলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ ফার্মগেট পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বেরিকেট সৃষ্টিতে অংশ নেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বার্থের জন্য কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য কারও কাছে যাননি। কখনো নেতা হতে চায়নি। আলমগীর কুমকুম তাকে বহুবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন জোটের সভাপতি দায়িত্ব ভার গ্রহণ করতে তবে তিনি নেননি। আলমগীর কুমকুম এর মৃত্যুর পর সারাহ বেগম কবরী যেহেতু আলমগীর কুমকুম এর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক, কার্যকারী সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন তাই তাকেই সভাপতি দায়িত্ব ভার অর্পণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জোটের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি ৪৫ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই সংগঠন এর সাথে আছেন, যার উদ্যোগে যার ঘরে এই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের জন্ম সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, প্রচার বিমুখ মানুষ, নিরবে কাজ করতে ভালবাসে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নিরব থাকেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময় দুর্দিনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম কাণ্ডারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এম,এ আলমগীর । সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুর পর জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের অনুরোধে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যাতে করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সংগঠনে নব্য আওয়ামীলীগার, নব্য বঙ্গবন্ধু প্রেমিক, সুযোগসন্ধানীরা, ব্যবসা বাণিজ্য, টাকা কামানো, তদবীর এর মতো কাজ এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে না করতে পারে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবন্ধ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত-কে শক্তিশালী করার জন্য। প্রতিটি আন্দোলনে ও নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আলমগীর কুমকুম এবং সারাহ বেগম কবরীর নেতৃত্বে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নামক সংগঠনটি আগামী সংসদ নির্বাচনে আলমগীর এর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।