আন্ডারডগ হিসেবে এবারের এশিয়া কাপটা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে আফগানদের সাথে শোচনীয় পরাজয়ে আরও অনেক সমালোচনায় পড়তে হয় তাদের। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কষ্টার্জিত জয়। সেই থেকে শুরু আর কেউ থামাতে পারলোনা নতুন এক লঙ্কান বাহীনিকে। একের পর এক ম্যাচ জয়ের পর ফাইনালেও আগে ব্যাট করতে মুখ থুবড়ে পড়লো তারা, কিন্তু একাই দলকে টেনে নিলেন রাজাপাকসে। দারুন সংগ্রহের পর বোলারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুললো শ্রীলঙ্কা।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭০ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। এই রানে সবশেষ ৩০ ম্যাচে দুবাইতে কোন দল ম্যাচ জিততে পারেনি। সর্বনিম্ন ছিল ১৭২ রান নিউজিল্যান্ডের, সেটাও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু টস জয় আর পরে ব্যাটিংয়ের সব সমীকরণ উল্টিয়ে দিল লঙ্কানরা। পাকিস্তানকে রানে ১৪৭ রানে অলআউট করে ২৩ রানের জয়ে ফাইনাল জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়া করতে নেমে শূন্য বলে ৯ রান উঠে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে। দিলশান মধুশাঙ্কা চারটি ওয়াইড ও একটি নো বল করেছেন। এর মধ্যে একটি ওয়াইড বল থেকে চার রান পেয়েছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত মধুশাঙ্কা প্রথম ওভারে দেন ১২ রান। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও শুরুটা হয় অগোছালো।
এরপরও ৩ ওভারেই ২০ রান তোলে পাকিস্তান। কিন্তু চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রমোদ মাদুশানের দ্বিতীয় বলে প্রথমে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম (৫)। এর পরের বলেই বোল্ড হন ফখর জামান।
এরপর রিজওয়ান ও ইফতেখার জুটি গড়লেও তাদের মন্থর ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ইফতেখার ৩১ বলে ৩২ ও রিজওয়ান করেন ৪৯ বলে ৫৫ রান। এরপর আসিফ আলি প্রথম বলেই ফিরলে আশা শেষ হয় পাকিস্তানের। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। লঙ্কানদের হয়ে মাদুশান সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাক বোলারদের সামনে দলীয় ৫৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে হাসারাঙ্গা ও রাজাপাকশে লঙ্কানদের ম্যাচে ফেরান। এ দুজন সংগ্রহ করেন ৫৮ রান। দলীয় ১১৬ রানে হাসারাঙ্গা ২১ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৩৬ রান করেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে থেকে যান রাজাপাকশে।
শেষ দিকে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান রাজাপাকশে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ১৭০ রান সংগ্রহ করে। রাজাপাকশে ৪৫ বলে ৩ ছয় ও ৬ চারে ৭১ রান ও চামিকা করুণারত্নে ১৪ বলে ১ ছয়ে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৩টি, নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতেখার আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।