সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি শোক প্রকাশ করেছে। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী রাজনীতিতে সবচেয়ে কঠিন সময়ের সাহসী নেত্রী বীর মুক্তিযুদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ হারালো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত এক দেশপ্রেমিক যোগ্য নেত্রীকে আর জননেত্রী শেখ হাসিনা হারালেন একজন অভিভাবক।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র এম এ আলমগীর সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুন সরকার রানা সহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে কিছুদিন আগে সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রমিলা রাজনীতিবিদ। ১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। সাজেদা চৌধুরী গত নবম ও দশম সংসদের উপনেতা ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি ফরিদপুরের কৃষাণপুর ইউনিয়ন (ফরিদপুর-২; নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।