২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং রোজ সোমবার সকাল ১০.০০টায় ধানমন্ডি ৩২নং বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও র্যালীর আয়োজন করে। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কুমকুম, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক খ্যাতিমান অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর কবর জিয়ারত করেন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী’র সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু ভবন সম্মুখে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরুন সরকার রানা’র সঞ্চালনায় জোট নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়ক শাকিল খান, অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, চিত্রনায়িকা শাহনুর, আবৃত্তি শিল্পী মুনা চৌধুরী, রেহেনা পারভীন, মিজানুর রহমান, জয়দেব রায়, সাদিয়া শারমিন টুকু, আশরাফুজ্জামান মিতু মাতবর, কাঞ্চন মল্লিক, মাহমুদা ইসলাম, রাজ সরকার, চিত্রপরিচালক শাহ আলম কিরন, চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু-সহ নাট্য, চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক বান্ধব, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে পারে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার আলোতেই আমরা আলোকিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। ২১ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। সাংস্কৃতিক অঙ্গণে ৭৫’র পর কেউ কিছু করেনি। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সংস্কৃতিসেবীদের জন্য যা করেছেন কোন ব্যক্তি করেনি। একমাত্র শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য কাজ করেছেন সারা বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতিকে ছড়িতে দেয়ার জন্য, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, সাংস্কৃতিক কর্মীদের অর্থ দিয়েছেন ও সংস্কৃতিসেবীদের যার যা প্রয়োজন তার সবকিছুই করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির দুঃসময়ে-দুর্দিনে আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুম, চিত্রনায়িকা কবরী, চিত্রনায়ক আলমগীর, অরুন সরকার রানা’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়।
৪৬ বছরে পা দিলো এই সংগঠন। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখন জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যার অফিস থেকে এই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়েছিল। চিত্রনায়ক আলমগীর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকেই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা হিসেবে দাবি করেন। তারা কেউই আলমগীর কুমকুম, কবরী সারওয়ারের কমিটির সদস্য ছিলেন না। এই নাম বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় তদবীর-বাণিজ্য করছেন।