আজ ২৮ শে সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ৩২ ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে আনন্দ সমাবেশ, কেক কেটে জন্মদিন পালন, কলাবাগানে জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালী ধানমন্ডির বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরুন সরকার রানা’র সঞ্চালনায় জোট নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের সহ সভাপতি রোকেয়া প্রাচী, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, চিত্রনায়িকা শাহনুর, সুজন হালদার, রেহেনা পারভীন, লায়ন মীযানুর রহমান, আশরাফুজ্জামান মিতু মাতবর, জয়দেব রায়, সাদিয়া শারমিন টুকু, কাঞ্চন মল্লিক, মাহমুদা ইসলাম, রাজ সরকার, চিত্রপরিচালক শাহ আলম কিরন, চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু-সহ নাট্য, চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে কলাবাগানে জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে জোটের সহ সভাপতি চিত্রনায়িকা রোজিনা, অরুনা বিশ^াস, উর্মিলা কর শ্রাবন্তী, বৃষ্টি রাণী সরকার, মাধবী সরকার, চল”িত্র পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আলোতেই বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ আলোকিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছে সাংস্কৃতিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক অঙ্গণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আর এই সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সকল উন্নয়ন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিটি শিল্পীর জন্য নাট্যাঙ্গণে, চলচ্চিত্র অঙ্গণে যে কাজ তিনি করেছেন কোন সরকার, কোন ব্যক্তি তার ষোল ভাগের দুই ভাগও কাজ করেন নাই। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর পর ১৯৭৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুম, চিত্রনায়িকা কবরী, চিত্রনায়ক আলমগীর, অরুন সরকার রানা’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখন জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যার অফিস থেকে এই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়েছিল। চিত্রনায়ক আলমগীর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকেই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা হিসেবে দাবি করেন। তারা কেউই আলমগীর কুমকুম, কবরী সারওয়ারের কমিটির সদস্য ছিলেন না। এই নাম বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় তদবীর-বাণিজ্য করছেন। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি তারা কেউ আলমগীর কুমকুম এবং সারাহ বেগম কবরী কর্তৃক স্বাক্ষরিত কোন চিঠি তারা দেখাতে পারবেন না। নব্য আওয়ামী লীগার এবং কিছু সুযোগ সন্ধানীরা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নাম ব্যবহার করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে। যদি কেউ তাদের স্বাক্ষরিত কোন চিঠি দেখাতে পারে আমরা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট করবো না। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীরা একমাত্র ধান্দাবাজ ছাড়া সবাই ঐক্যদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরার জন্য চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাবো।