নিজেদের মাঠে বসেছে বিশ্বকাপের আসর। স্বাগতিক দেশ হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলো কাতার। যদিও ইকুয়েডর সেই আশায় গুড়ে বালি ঢেলে দিলো। স্বাগতিকদের হতাশায় ডুবিয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিলো দক্ষিণ আমেরিকার দলটি।
কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের বাঁশি বাজার দিনে দক্ষিণ আমেরিকান তারকা এনার ভ্যালেন্সিয়ার কাছেই নাস্তানাবুদ হলো স্বাগতিক কাতার। এই তারকার জোড়া গোলে সহজ হয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো ইকুয়েডর।
কাতার যে শুধু পরাজিত হয়েই মাঠ ছেড়েছে এমন কিন্ত না। এর আগের ২১ আসরে যা ঘটেনি কখনো এবার ঠিক সেই কাণ্ডই করে দেখালো স্বাগতিক দেশটি। এর আগে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের আসর গুলোতে কখনোই প্রথম ম্যাচে হারেনি স্বাগতিক দল। এবার ইকুয়েডরের কাছে হেরে কাতার সেই ঐতিহাসিক ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যর্থও হলো।
মাঠের খেলা শুরুর মাত্র তৃতীয় মিনিটেই গ্যালারি ভর্তি স্বাগতিক সমর্থকদের মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ করে দেন ভালেন্সিয়া। পোস্ট ছেড়ে ডি-বক্সের মধ্যেই এগিয়ে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। সেই সুযোগে ডান দিক থেকে সতীর্থের দারুণ অ্যাক্রোবেটিক পাস পেয়ে গোলমুখ থেকে হেডে জালে বল পাঠান একুয়েডর অধিনায়ক। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রবল চাপ ধরে রাখে ইকুয়েডর। চতুদর্শ মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ভালেন্সিয়া। তাকে গোলরক্ষক সাদ আলশিয়েব ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাশি বাঁজান রেফারি। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান ফেনেরবাচের ফরোয়ার্ড ভালেন্সিয়া।
৩১তম মিনিটে আবারও ভালেন্সিয়ার দারুণ হেড এবং কাতালের জালে বল। এবার ঠিকই বাজে গোলের বাঁশি। ডান দিক থেকে সতীর্থ ডিফেন্ডার আনহেলো প্রেসিয়াদোর দারুণ ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে লাফিয়ে নেওয়া হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভালেন্সিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। তবে এ যাত্রায় ভুল করেননি আলশিয়েব। ইকুয়েডর মিডফিল্ডার রোমারিও ইবারার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। খানিক পর একটি হাফ-চান্স পায় কাতার; পেদ্রো মিগেলের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
নির্ধারিত সময় শেষের পাঁচ মিনিট আগে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়ায় কাতার। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল পেয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে জোরাল হাফ ভলি মারেন মোহামেদ মুনতারি। ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায় বল।